আজ সকাল হতে দুপুর অবধি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সের ছেলে মেয়েদের ক্লাস গুলো সমাপ্ত করার পর দুপুর ২.১৫ টার সময় বাসায় গেলাম দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য। বিকাল ৩.০০টার দিকে খাবার শেষে বউ বাচ্ছা নিয়ে একটু অবসর কাঠাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার মা ডাকলেন, "কে যেন মোটর বাইক নিয়ে তুকে ডাকতে এসেছে।" অবাক হলাম! এই সময়ে আমাকে কেউ না বলে বাসায় ডাকতে আসার কখা নয়। মা বললেন, কেউ একজন বাংলাবাজার, ঝিলংজা, কক্সবাজার থেকে এসেছেন। আমি তাড়াতাড়ি উঠে বাহিরে এসে দেখি ঝিলংজা ইউনিয়নের উদ্যোক্তা সালাহ উদ্দিন সোজা আমার বাড়ীর দরজায় দাড়িয়ে। আমি বসতে বলাতে সে আমাকে বললো, বসা যাবে না। আমাদের ইউনিয়নের পূর্ব বোয়ালখালী গ্রামের তার একজন আত্মীয় মারা যাওয়াতে বিদেশে অবস্থানরত নিহত ব্যক্তির পুত্র কন্যা তার মরহুম পিতার লাশ দেখনোর এখনই ব্যবস্থা করতে হবে আমাকে। আমার সেবা কেন্দ্র হতে প্রায়ই ভিডিও কল করার জন্য হোম সার্বিস দিয়ে থাকি। আমি কখনো এরকম কারো বাসয় যায়নি। আমার কোন বিকল্প উদ্যোক্তারা অফিসে উপস্থিত না থাকাতে আমি খুবদ্রুত সালাহ উদ্দিনের সাথে তার আত্মীয়ের বাড়ীতে এসে দেখি, মরহুম ব্যক্তি আমার শ্রদ্ধেয় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব ফরিদুল আলম স্যার। আমি স্যারের অকাল মৃত্যুতে ভাষাহীন হয়ে পড়লাম। নিজেকে অনেক কষ্টে উঠানের একটি টেবিলে আমার ল্যাপটপটি অন করে স্কাইপির মাধ্যমে আমার স্যারের বড় ছেলে-মেয়ে যথাক্রমে মহসিন ও রুমাকে তার পিতার মরা মুখ দেখানোর ব্যবস্থা করে দিলাম। সাথে সাথে চারপাশের লোকজন ও নিকট আত্মীয়ের কান্নার ধ্বণিতে চারপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠলো। সেকি প্রথাগত করুণ এক দৃশ্য! নিজের অজান্তেই চোখের পানি চলে আসলো। আমার স্যারের অন্তিম মুহুর্তে তার প্রবাসী পুত্র-কন্যারা মরহুম বাবার শেষ শোভাযাত্রা অবলোকন করলো। পুলকিত হলাম, স্যারের পরিবার এবং মরহুম স্যারের সমাজের লোকজন আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে। সালাহ উদ্দিন ভাই প্রায় দুই ঘন্টা ধরে অনেক কষ্ঠ করে আমাকে সহযোগীতা করেন।
সেই সময় উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষক, রাজনীতিবিধ, জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ জনগনের বর্তমান সরকারের অনণ্য সফল সুথিকাগার ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র নিয়ে মুখরোচক আলোচনা আমার কানে আসতে লাগলো। এক বয়যোষ্ঠ শিক্ষক বলেই ফেললেন, তথ্য সেবা কেন্দ্র জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত সকল মানুষের অনণ্য মিলনের এক নির্ভেজাল ভালবাসার স্থান। উদ্যোক্তা জীবনে সাধারণ মানুষের ভালবাসার এরকম স্বীকৃতি আমার মতো কয়জন তরুনের ভাগ্যে জোটে আমি জানিনা। তবে এ ধরণের স্বার্থক একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা হতে পেরে সত্যিই আজ আমি সাধারণ জনগনের ভালবাসায় সফল।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস